ইয়াবা দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবদল সভাপতিসহ ৮জনকে ফাঁসানোর অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের বিরুদ্ধে র্যাবের মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদল সভাপতিসহ ৮জনকে আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে হয়রানীর শিকার প্যানেল চেয়ারম্যানের স্ত্রী সুমি আক্তার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের হাতে আটক ৮ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমি আক্তার অভিযোগ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমিরাবাদ গ্রামের আওলাদ মৃধার মা সুফিয়া খাতুনের সম্প্রতি মৃত্যুতে আগামী ৬ মার্চ দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক চলছিল। সেখানে তার স্বামী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জসিম হাওলাদার এলাকার, সাবেক ইউপি সদস্য জামাল খান, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিরাজ হাওলাদার, আওলাদের ভগ্নিপতি জলিল তালুকদার, শ্যালক মিজানুর রহমান, বন্ধু সেলিম ও কামরুলসহ নিকটাত্মীয় অংশ নেন। ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বরিশাল র্যাব-৮ এর একটি দলকে খবর দিয়ে ৮জনকে আটক করান। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা চেয়ারম্যানের সোর্স ও মাদকব্যবসায়ী রুহুল আমিন ঘরের মধ্যে ঢুকে র্যাবের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই র্যাব ৪৭পিস ইয়াবা এবং বিক্রির ৪৮ হাজার টাকা উদ্বার করেছেন বলে সবাইকে জানায়। ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া রুহুলের মোটর সাইকেলটি পরের দিন রাতে র্যাব সস্যরা স্থানীয়দের বাধার মুখেও নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের সঙ্গে প্যানেল চেয়ারম্যান জসিমের বিরোধ চলে আসছিল। জসিম আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীন র্যাব দিয়ে নাটক সাজিয়ে নিরাপরাধ ৮জনকে আট করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামী জসিমের জনপ্রিয়তা দেখে শাহীন ঈর্ষান্নিত হয়। সে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ থেকে আমার স্বামীকে কোণঠাসা করে রাখে। শাহীন নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি এলাকায় মাদক স¤্রাট হিসেবে পরিচিত। তার বাহিনী এখনো মাদক বিক্রি করে। আমিরাবাদ গ্রামের সালাম মৃধা, জামাল মৃধা ও মাদক কারবারি রুহুল আমিন ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের লোক। শাহীন ও তার লোকজন আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য র্যাবকে দিয়ে আমার স্বামীসহ ৮জনের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে আটক দেখায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। র্যাব তাদের কাছে ইয়াবা পেয়েছে, এখানে অন্যকারো হাত থাকতে পারে না। আমি এর সঙ্গে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই।